ইসলামে বিবাহ (নিকাহ) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র বন্ধন

ইসলামে বিবাহ (নিকাহ) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র বন্ধন


 ইসলামে বিবাহ (নিকাহ) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র বন্ধন, যা কেবল দুইজন মানুষের মধ্যে একটি সামাজিক চুক্তি নয়, বরং এটি একটি ইবাদত এবং নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সুন্নাহ।

 ইসলামে বৈরাগ্যজীবনকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং বিয়ের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ পারিবারিক ও সামাজিক জীবন গঠনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিয়ে সম্পর্কে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও বিধানগুলো রেফারেন্স সহ নিচে উল্লেখ করা হল

১. বিবাহের গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য
ইসলামে বিবাহকে ঈমানের অর্ধেক অংশ পূর্ণ করার মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো: 
মানসিক প্রশান্তি ও ভালোবাসা: আল্লাহ তাআলা দম্পতিদের মধ্যে ভালোবাসা, মমতা ও প্রশান্তি সৃষ্টি করেছেন। 


কোরআনের রেফারেন্স: আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও মমতা সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আর-রুম, 30:21)


নৈতিক পবিত্রতা ও চারিত্রিক সুরক্ষা বিবাহ মানুষকে গুনাহ ও অবৈধ সম্পর্ক থেকে রক্ষা 
নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, যখন কোনো ব্যক্তি বিবাহ করে, তখন সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করে নেয়। ‍সুতরাং বাকি অর্ধাংশের ব্যাপারে তার উচিত আল্লাহকে ভয় করা। (সহীহ ইবনে মাজাহ)


বংশবিস্তার: সন্তান জন্মদান এবং একটি সুস্থ পরিব্র গঠন বিবাহের অন্যতম লক্ষ্য। পারস্পরিক সহায়ক: স্বামী-সত্রী একে অপরের পরিপূরক।
কোরআনের বর্নিত: তারা তোমাদের জন্য পোশাক এবং তোমরা তাদের জন্য পোশাক। (সুরা আল-বাকারা, 2:187) এই আয়াতে স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের জন্য আশ্রয়, সুরক্ষা এবং ভূষণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।


২. বিবাহের আবশ্যকীয় শর্তসমূহ (আরকান ও শরায়েত)
একটি বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য কিছু মৌলিক শর্ত পূরণ করা আবশ্যক:
ইজাব ও কবুল (প্রস্তাব ও গ্রহণ): বর ও কনের উভয়ের স্পষ্ট সম্মতি থাকতে হবে। কনে তার ইচ্ছানুযায়ী বিয়েতে মত বা অমত দিতে পারে। 


নবী (সাঃ) বলেছেন, ”কোনো বিধবা নারীকে তার সম্মতি ব্যতীত বিয়ে দেওয়া যাবে না এবং কুমারী মহিলাকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিতে পারবে না।
(সহীহ বুখারী, হাদিস: 5136) 


মাহর দেনমোহর বর কর্তৃক কনেকে বাধ্যতামূলকভাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ বা অর্থ প্রদান করতে হবে। এটি কনের অধিকার।


প্রকশ্য ঘোষণা: বিবাহ গোপন না রেখে সামাজিকভাবে প্রকাশ করতে হবে। 
৩. স্বামী-স্ত্রীর অধিকার ও দায়িত্ব

ইসলাম স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করেছে, যা পাস্পরিক সম্মান ও মমতার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
পরস্পর সদয় আচরণ: উভয়েই উভয়ের সাথে দয়া ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে আচরণ করবে।কোরআনের রেফারেন্স: আর তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস করো। (সূরা আন- নিসা,4:19)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url